ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল, আটক ৪৬

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক :: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এবং নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, মামলা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ৪৬ জনকে আটক করে। মিছিলে গুলিবর্ষণ এবং টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপের অভিযোগ করেছে জামায়াত। পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ার ছবি ছড়িয়েছে।

গত বুধবার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম বিবৃতিতে শুক্রবার ঢাকায় এবং রোববার দেশের অন্যান্য মহানগরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে দলটির মিছিল শুরু হয়।

মিছিল কিছুদূর এগোনোর পর পুলিশের ধাওয়ার মুখে পড়ে। দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বিবৃতিতে বলছেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ শেষে পুলিশ বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলা করে। রাবার বুলেট ছোড়ে। মিছিলকারী, সাধারণ পথচারীসহ অর্ধশত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানো জামায়াত যুদ্ধাপরাধের বিচারে এক যুগ ধরে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। গত ১০ জুন এক দশক পর পুলিশের অনুমতি নিয়ে তারা প্রকাশ্য সমাবেশ করে। তবে তিন মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক আবেদন করেও মিছিল-সমাবেশের অনুমতি পায়নি।

এ টি এম মাছুম বলেন, সরকার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। জামায়াতের হাজারো নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। সংবিধান প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মিছিল-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারও নেই।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মফিজুল আলম বলেন, বিনা অনুমতিতে মিছিল বের করেছিল জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তারা সড়ক অবরোধ করে; যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে লাঠিচার্জ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে। নাশকতার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

পাঠকের মতামত: